বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জগন্নাথপুরে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ও নির্ধারিত তারিখে দোকানঘর  নিলাম হয়নি!   সাংবাদিক শংকর রায়ের মৃত্যু তে প্রবাসী  সাংবাদিক তৌফিক আলী মিনার এর শোক জগন্নাথপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শংকর রায় আর নেই: প্রেসক্লাবের শোক এবার ৩২ টাকা কেজিতে ৫ লাখ টন ধান,   ১২ লাখ টন চাউল কিনবে সরকার  জগন্নাথপুরে লন্ডন প্রবাসীর বাড়ী বেদখল চেষ্টায় সংবাদ সম্মেলন জগন্নাথপুরে হাওরে ধান কাটার ধুম, বঙ্গবন্ধু-১০০ জাতের ধানে চিটা শান্তিগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন শান্তিগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঈদ পুনর্মিলনী ও আলোচনা সভা  উন্নত জাতি বিনির্মাণে সাংবাদিকরা অগ্রণী ভূমকিা পালন করেন: এমএ মান্নান এমপি জগন্নাথপুরে সার-বীজ বিতরন কালে সাবেক মন্ত্রী, দেশে এখন পরিবর্তনের হাওয়া বইছে

সাংবাদিক সুবর্ণা হত্যা মামলায় সাবেক শ্বশুর রিমান্ডে

সাংবাদিক সুবর্ণা হত্যা মামলায় সাবেক শ্বশুর রিমান্ডে

জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক:: বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আনন্দ টিভির পাবনা প্রতিনিধি এবং অনলাইন পোর্টাল জাগ্রত বাংলার সম্পাদক ও প্রকাশক সুবর্ণা নদী হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবুল হোসেনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বিকালে পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদ হোসাইন এ আদেশ দেন। ব্যবসায়ী আবুল হোসেন ইড্রাল ফার্মাসিউটিক্যালসের মালিক এবং নিহত সাংবাদিক সুবর্ণা নদীর সাবেক শ্বশুর।
এদিকে নদী হত্যার ৩ দিন অতিবাহিত হলেও এর প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হয়নি। নদীর মায়ের দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার হলেও অন্যরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। এ জন্য বাদীর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে তারা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
সাংবাদিক সুবর্ণা নদী পাবনা শহরের রাধানগরের ভাড়া বাসায় তার ৭ বছরের একমাত্র মেয়ে জান্নাত, বড় বোনের ছেলে আলিফ হোসেন (৭) এবং মা মর্জিনা বেগমকে নিয়ে থাকতেন।
গত আনুমানিক রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে বাসার গেটের সামনে পৌঁছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা ৪ থেকে ৫ জনের একদল দুর্বৃত্ত নদীর ওপর হামলা চালায়। তারা নদীর ঘাড়ে, পিঠে এবং গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়।
পরে তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হত্যার পরদিন নদীর মা ইড্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস ও শিমলা ডায়াগনস্টিকের মালিক এবং নদীর সাবেক শ্বশুর আবুল হোসেন (৬০), তার ছেলে নদীর সাবেক স্বামী রাজিব (৩৫), রাজিবের সহকারী মিলনসহ (৩৪) অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে পাবনা থানায় মামলা করেন।
এই মামলার পর আবুল হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার দেখায়। এর আগে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার রাতেই আবুল হোসেনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছিল।
বৃহস্পতিবার বিকালে গ্রেফতার আবুল হোসেনকে পাবনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক অরবিন্দ সরকার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদ হোসাইন ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে নিহত নদীর বড় বোন চাম্পা খাতুন বলেন, পুলিশ বলছে অন্যদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, সব আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। কাজ ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com